তুরস্ক পশ্চিম এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের একটি সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্র। দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ তুরস্কে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এই সকল প্রবাসীদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভিসা প্রদান করে থাকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দেওয়া এই সকল ভিসা পেতে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
তুরস্কে অসংখ্য উঁচু নিচু টিলা পাহাড় সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিবছর বিভিন্ন কাজের ভিসার পাশাপাশি এই সকল পর্যটন কেন্দ্র, উচ্চশিক্ষা বা ব্যবসার জন্য বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ তুরস্কে পাড়ি জমাতে চায়। যার কারণে তারা তুরস্ক ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে যা নিচে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।
তুরস্ক ভিসার দাম কত
বর্তমানে বেকারত্বের বোঝা মাথা থেকে নামানোর জন্য বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করার কথা ভাবে। বিভিন্ন কাজের পারিশ্রমিকের কথা চিন্তা করলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তুরস্কে অনেক বেশি টাকা দেওয়া হয়। যার কারণে কাজের ভিসায় দেশের বাইরে যাওয়ার কথা উঠলে প্রথমেই তুরস্কের নাম আগে আসে।
তুরস্কের কাজের ভিসা পেতে প্রথমেই তুরস্কের প্রেসিডেন্টের নিকট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। এই আবেদন করার জন্য আপনাকে আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আবেদন ফ্রি প্রদান করতে হতে পারে। ভিসার অনুমতি পেয়ে গেলে ভিসা করতে সর্বনিম্ন ৫-৬ লাখ ও সর্বোচ্চ ৭-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
তুরস্ক শ্রমিক ভিসার দাম কত
সকল দেশেই অভিজ্ঞ শ্রমিকের কম বেশি প্রয়োজন থাকে তুরস্ক এর বাইরে নয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রতিবছর অসংখ্য মানুষকে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক ভিসার মাধ্যমে কাজ করানোর জন্য তুরস্কে নিয়ে আসে। সকল দেশের মতো তুরস্কও অভিজ্ঞ শ্রমিকদের আলাদা কদর করে থাকে।
তাই আপনার যদি শ্রমিক হিসাবে আগে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তুরস্কে শ্রমিক ভিসায় এসে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। বর্তমানে তুরস্কে শ্রমিকের চাহিদা বেশি থাকায় অল্প সময়েই শ্রমিক ভিসা পেয়ে যাবেন। তুরস্কে শ্রমিক হিসাবে শ্রমিক ভিসায় যেতে হলে আপনাকে আনুমানিক ৩-৪ লাখ টাকা খরচ করতে হতে পারে।
তুরস্ক কোম্পানি ভিসার দাম কত
প্রতিবছর কাজের জন্য তুরস্কের বিভিন্ন কোম্পানি ভিসার সার্কুলার দিয়ে থাকে। তুরস্কের যেকোনো কোম্পানিতে কাজ করলে অনেক বেশি টাকা বেতন পাওয়া যায়। তাই বর্তমানে কোম্পানি ভিসায় তুরস্কে যাওয়ার চাহিদা অনেক গুনে বেড়ে গিয়েছে । কোম্পানি ভিসা করতে সাড়ে তিন লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
তুরস্ক ড্রাইভিং ভিসার দাম কত
সকলের জীবন বাঁচিয়ে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার মতো কঠিন দায়িত্ব নিতে হয় গাড়ির ড্রাইভারদেরকে। বাংলাদেশের অনেকেই ড্রাইভিং শিখে বেকার জীবন যাপন করে থাকে। প্রতিবছরের মতো এই বছরেও তুরস্কের গাড়ির ড্রাইভিং ভিসার কার্যক্রম চালু থাকায় আপনি চাইলে ৪-৫ লাখ টাকা খরচ করে ড্রাইভিং ভিসায় তুরস্ক যেতে পারেন।
তুরস্ক টুরিস্ট ভিসা দাম কত
পৃথিবীর সকল দেশের মতোই তুরস্কেও অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যে সকল পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখার জন্য বিশ্বের সকল দেশের মানুষ মুখিয়ে রয়েছে। বিশ্বের সকল দেশের এই ভ্রমণপিপাসু মানুষ গুলোর আগ্রহের কথা চিন্তা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রতি বছর টুরিস্ট ভিসা প্রদান করে থাকে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দেয়া টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে আপনি যদি তুরস্কে যান। তাহলে বৈধভাবে ১ মাস থেকে শুরু করে দুই মাস পর্যন্ত তুরস্কে অবস্থান করতে পারবেন। অন্যান্য ভিসার তুলনায় টুরিস্ট ভিসার খরচ তুলনামূলক একটু কম। বর্তমানে টুরিস্ট ভিসায় তুরস্কে যেতে আনুমানিক আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
তুরস্ক যেতে কত টাকা লাগবে?
বর্তমানে অনেকেই তুরস্ক যাওয়ার জন্য তুরস্ক ভিসার দাম কত ও যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানতে চায়। আগের তুলনায় বর্তমানে ভিসার দামের পাশাপাশি বিমান ভাড়া বা বিমানের টিকিটের দাম সহ সকল কিছুর খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে আগে চার থেকে পাঁচ লাখ খরচ করে তুরস্কে পৌঁছানো গেলেও বর্তমানে তুরস্কে যেতে আনুমানিক সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
শেষ কথা
কাজের উদ্দেশ্যে অনেকেই তুরস্কে যাওয়ার জন্য তুরস্ক ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টে তুরস্কের বিভিন্ন কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যা আপনাদের তুরস্কের বিভিন্ন ভিসার দাম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ।
Leave a Reply