জিরা কত টাকা কেজি ২০২৪

বাংলাদেশে হুড়মুড় করে প্রায় সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি জিরার দাম অত্যাদিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে এই জিরা একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা মসলা। যা গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষের কাছে এসব মসলার দাম অনেক বেশিেই হয়ে গিয়েছে। তাদের কাছে এইসব পণ্য কেনা অনেক কষ্টসাধ্যও হয়ে গিয়েছে। সরকার চাইলেও এর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জিরা কত টাকা কেজি এর সঠিক মূল্য কোনোভাবেই সঠিক দাম বাজারে আনতে পারছে না। দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে এসব পণ্যের মূল্য দুই থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অসাধু ব্যবসায়ীরা বলেছেন তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ডলার সংকটের কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। যেখানে মাসের ব্যবধানে সকল মসলার দাম বেড়েছে 50 থেকে 65%।যদিও এসব মসলার দাম নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কারণ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে মসলা বা জিরা। প্রতি কেজিতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় 100 থেকে 200 টাকা পর্যন্ত। এ আকাশচুম্বী দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে হয়রানি সৃষ্টি হয়েছে। তথাপি ভারতের থেকে বাংলাদেশের সকল মসলার দাম প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় দেশের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

আর এই বর্তমান জিরা কত টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বাজারে। পাশাপাশি ভারতীয় জিরা, ইরানি জিরা কত টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়ে আজকের পোস্ট টি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তাই জিরার সঠিক মূল্য জানতে সম্পূর্ন পোষ্টটি পড়ে নিন।

জিরা কত টাকা কেজি

বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমদানি কমে গেছে বাংলাদেশ। সেজন্য দেশের বিভিন্ন মসলার দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি জিরার দাম ও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মাসখানেক আগেও জিরার দাম প্রতি কেজিতে 370 থেকে 90 টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। গত নভেম্বরেও প্রতি কেজিতে বিক্রি হতো 475 থেকে 80 টাকা। অথবা কোন কোন দোকানে 500 টাকার বেশি বিক্রি হতো। আর কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো এইসব মসলা বাজারে বিক্রি করছে ক্রেতাদের কাছে।তাই জিরা কত টাকা কেজি নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে এই জিরা। জানা গিয়েছে যে বর্তমানে জিরা 500 থেকে 520 টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ইরানি জিরার দাম

বাংলাদেশের বিভিন্ন মানের জিরা রয়েছে। বিভিন্ন দামে সেই জিরা গুলো বিক্রি হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও ইরানি জিরা রয়েছে। এই ইরানি জিরার দামও বর্তমানে অনেকটাই বেশি। দুই মাস আগেও এই জিরার বিভিন্ন জিরার মত প্রতি কেজিতে 470 থেকে 480 টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতো। বাংলাদেশের প্রায় সব জিরাতে প্রতি কেজিতে 100 থেকে 120 টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সে হিসেবেই ইরানি জিরার দাম প্রায় 500 টাকার ও বেশি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 570 থেকে 580 টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ভারতের  জিরার দাম

ভারত থেকে অনেক বেশি জিরা আমদানি করা হয় বাংলাদেশে। কিন্তু বর্তমানে এখন ভারত থেকে অনেক কম পরিমাণে জিরা আমদানি করা হচ্ছে বাংলাদেশে। আর বর্তমানে ডলারের নানাবিধ সংকটে ভারতের সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি অনেকটাই কমে গেছে। জানা গেছে বর্তমানে প্রায় 30 শতাংশ সকল পণ্যের আমদানি কমে গিয়েছে বাংলাদেশের। আর সকল পণ্যের আমদানি ভারত, চীন,পাকিস্তান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া থেকে করা হয়। ভারত থেকেও অনেক বেশি পরিমাণে জিরা আমদানি করা হত। কিন্তু ভারতীয় সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে এখন এসব পণ্যের আমদানি কমে গেছে। তবে মাস খানেক আগেও ভারতীয় জিরা বাংলাদেশে বিক্রি হতো প্রায় 450 থেকে 470 টাকা কেজি ধরে। কিন্তু বর্তমানে ভারতের জিরার দাম বাংলাদেশে 500 টাকার ও বেশি।প্রায় 500 থেকে 600 টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

জিরার বর্তমান বাজার মূল্য ২০২৪

গত এক-দেড় মাসে জিরা আমদানিতে প্রতি টনে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৫০০ ডলার। আর 1400 ডলার ব্যয় এক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব জিরার দাম বৃদ্ধি হওয়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ রয়েছে ডলারের দাম বৃদ্ধি। এবং জাহাজ ভাড়ার কারনেও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জিরার দাম অধিক বৃদ্ধি হওয়ার পেছনে এসব কারণ রয়েছে। যেখানে গত মাসেও জিরার বাজার মূল্য ছিল 390 থেকে 400 টাকা পর্যন্ত। তারপরে জিরার দাম বৃদ্ধি পেয়ে ছিল 470 থেকে 480 টাকা পর্যন্ত। আর এখন বর্তমান জিরার বাজার মূল্য প্রতি কেজিতে 500 টাকার ও বেশি। কোথাও কোথাও 600 টাকার ও কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে। আর জিরার দাম নিয়ে সাধারন নিম্নআয়ের মানুষের কাছে অনেক বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

সকল মসলার বর্তমান দাম ২০২৪

মাসের ব্যবধানে সকল মসলার দাম ঊর্ধ্বগতিতে বেড়ে চলেছে। জিরা, রসুন,পেঁয়াজ, লবঙ্গ,দারচিনি,এলাচ,তেজপাতা,আদা ইত্যাদি সকল পণ্যের দাম অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি জিরা ৫০০ থেকে ৫৭০ টাকা, দারচিনি ৪৩০ থেকে ৫২০ টাকা, লবঙ্গ এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি এলাচ এক হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা, ধনে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। দেশি আদা ১২০ টাকা ও আমদানি করা আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি

মসলার পাইকারি বাজার কোথায় ?

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ও বিভিন্ন জেলায় জেলায় মসলার পাইকারি বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সকল মসলার বড় বড় পাইকারি বাজার রয়েছে। যেমন রাজধানীর চকবাজার মসলার পাইকারি বাজার,কারওয়ান বাজার মসলার পাইকারি বাজার। ঠাটারি বাজার মসলার পাইকারি বাজার,টংগি মসলার পাইকারি বাজার,মসলার পাইকারি বাজার চট্টগ্রাম-খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার। আরো চৌমুহনী বাজার, বরিশালে রয়েছে বড় মসলার পাইকারি বাজার। এসব বাজারে জিরাসহ সকল মসলা পাওয়া যায়।

শেষ কথা

উপরের যে পোস্টটি লেখা হয়েছে তা হচ্ছে জিরা কত টাকা কেজি । এসব মসলার দাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দামে বাজারে পাওয়া যায়। এর বাজারমূল্য প্রায় সময়ই ওঠানামা করে। তাই জিরার সঠিক মূল্য নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করব বর্তমান জিরার মূল্য জানতে পারবেন এই পোস্ট থেকে। ধন্যবাদ

Emran Hossin
Emran Hossin
Articles: 54